প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোট শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৪

সাহস ডেস্ক

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আজ দেশের ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।  আজ রবিবার (১০ মার্চ)  সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে যা একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

১৯টি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে জাল ভোট দেওয়া ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে এসব উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলাগুলোতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত এক নাগাড়ে ভোট গ্রহণ শেষে এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

এর মাধ্যমে এসব উপজেলায় নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তবে দেশের বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম।

আজ যে ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়েছে তাতে মোট ৮৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৩৮৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৪৯জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৮৪৭টি।

প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা হলেও উচ্চ আদালতের আদেশে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এবং রাজশাহীর পবার ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী, নেত্রকোনার পূর্বধলা ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভোট একদিন আগে বন্ধ করেছে। এছাড়া জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ এবং নাটোরের সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদেই একক প্রার্থী হওয়ায় সেখানে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না।

এবার দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলের এমপিদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সিংহভাগই সরকার সমর্থিত দল সমর্থিত হওয়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান কমিশনের। তাদের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা।

এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদেই দলীয় মনোনয়নের সুযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেবল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে প্রত্যাশীদের কাছে ফরম বিক্রি করলেও শেষ মূহুর্তে অবস্থান পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ। 

জানা গেছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো নিবন্ধিত দল অংশগ্রহণ না করার কারণে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে এই পদ দুটি উন্মুক্ত রাখে আওয়ামী লীগ। এমনকি পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নমনীয় দলটি। অন্যান্য সময়ে এসব প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও এবার সেটি ঘটেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত