প্রতিরোধের মার্চ

১৯৭১ এর উত্তাল ১০ মার্চ

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০১৯, ১২:২৮

সাহস ডেস্ক

অগ্নিঝরা মার্চের দশম দিনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী পিরোজপুরে গঠন করা হয়েছিল মহকুমা সংগ্রাম পরিষদ।

৭ সদস্যের মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের মধ্যে ডাঃ ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল ব্যতিত সকলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া একই দিনে গঠিত ৮ থানা ও ১ পৌরসভার ৬৩ জন সদস্যের আজ আর কেউই বেঁচে নেই।

বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের পিরোজপুরের সদস্য বৃন্দ।

১০ মার্চ সকালে পিরোজপুরে ফিরে এসেই শহরের পাড়েরহাট সড়কে মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য এডভোকেট এনায়েত হোসেন খানের বাসভবনে বসে মহকুমা এবং মহকুমার ৮টি থানা ও একটি পৌরসভার সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন এডভোকেট এনায়েত হোসেন খান।

মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এডভোকেট সামসুল হক এম,পি,এ ডাঃ আব্দুল হাই এম,পি,এ ডাঃ ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল এম,পি,এ, মোঃ নুরুল ইসলাম ভান্ডারি এম,পি,এ, মোঃ বদিউল আলম চৌধুরী ও আজিজুর রহমান সিকদার।

ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, সংগ্রাম পরিষদ গঠন শেষে পাড়েরহাট সড়কে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার করতালী ও গগন বিদারী স্লোগানের মধ্যে এনায়েত হোসেন খান মহকুমা থানা ও পৌর সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন। এই সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বেই পিরোজপুরে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি যা ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে রূপ নেয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত