‘তিন বছরের মধ্যেই রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন’

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫২

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে আগামী তিন বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। সম্প্রতি দিল্লি সফরের সময় বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি আর বছর তিনেকের ভেতরেই রামপাল প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে দেয়া যাবে। মানে ওই সময়সীমার মধ্যে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে চলে আসবে।’

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রকল্পটি যদিও নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে একটু পিছিয়ে (বিহাইন্ড শিডিউল) আছে, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো- এই প্রকল্পে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি কিন্তু এখন পুরোপুরি সেটলড।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রামপালে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি এবং যেসব দূষণবিরোধী পদক্ষেপ বা মিটিগেটিং মেজারস নিচ্ছি তাতে সুন্দরবনের বা পরিবেশের কোনো বড় ঝুঁকি আর নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, রামপালে অনেক খরচ করে বাংলাদেশ এখানে যে ‘আলট্রা-সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তি’র প্রয়োগ করছে, তাতে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকো পর্যন্ত সন্তুষ্ট।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী অবশ্য দাবি করছেন, তারা এখন যে ধরনের প্রযুক্তি রামপালে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে কয়লা সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না।

তিনি বলেন, কয়লা নিয়ে আশঙ্কার প্রধান কারণটা হলো বাতাসে তারা সালফার অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড - যাদের সংক্ষেপে ‘সক্স নক্স’ বলা হয়ে থাকে - তার নির্গমন ঘটায়। এগুলো থেকে আবার অ্যাসিড রেইন-ও হয়। কিন্তু আমরা রামপালে আলট্রা সুপার-ক্রিটিকাল বা বিশেষ ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর ফলে এই সালফার বা নাইট্রাস পার্টিকলগুলোকে ট্র্যাপ করে ফেলা সম্ভব - অর্থাৎ বাতাসে সেগুলো বেরোতেই পারবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে আমাদের অনেক বাড়তি খরচ হচ্ছে ঠিকই, প্রকল্পের ব্যয়ও হয়ত কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসব আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে রামপালে বলা যেতে পারে একেবারে 'ক্লিন কোল' টেকনোলজি বা প্রায় সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত কয়লার ব্যবহার হচ্ছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত