প্রধানমন্ত্রীকে এফএও, ডব্লিউএফপি ও আইএফএডি’র অভিনন্দন

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৩

সাহস ডেস্ক

রোমভিত্তিক জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা (আরবিএ) এফএও, ডব্লিউএফপি ও আইএফএডি গত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় ও পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সংস্থা তিনটির প্রধানগণ বর্তমানে রোমে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে এ অভিনন্দন জানান। তারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরবিএ প্রধানগণ গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির উল্লেখ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলি তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করেন এবং জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমার নাগরিকদের অমানবিক অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে সহায়তা অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)’র মহাপরিচালক জোসে গ্রাজিয়ানো ডা সিলভা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এফএও’র সহায়তায় ৯৮ দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩৬টি প্রকল্পর বাস্তবায়নাধীন থাকার কথা উল্লেখ করেন।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশে কৃষিখাতে নতুন প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার জন্য এফএও প্রধানকে অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি এফএওকে তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, লিচুর মত উন্নত ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনেরও আহ্বান জানান।

ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি)’র সভাপতি গিলবার্ট এফ হংবো গ্রামীণ জনগণের জন্য সম্পদ বিতরণ ও সদ্ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচ দেয়র জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

অর্থমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কৃষি ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি)’র গভর্নিং কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন ইতালির রোমে রয়েছেন। তিনি দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য আরবিএ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশে জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ অর্জন করেছে এবং গত দশকে এ অর্জন ছিল সবসময় ৬ এর বেশি। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ একটি প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং ইতোমধ্যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এসডিজিকে মূলধারায় নিয়ে এসেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত