প্লাস্টিকের বিকল্প হবে পাট: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩০

সাহস ডেস্ক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সারাবিশ্বে এখন প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদেরও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটপণ্যের ব্যবহার করা হবে। আর যেখানে তামাক চাষ করা হয় সেখানে মানুষ যেন তুলা চাষ করে সেটার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলোচনাসভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

কাঁচা পাট রফতানির সব বাধা দূর করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাঁচা পাট রফতানির বাধাগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কথা ভাবছে সরকার। বাংলাদেশে উৎপাদিত কাঁচা পাট অত্যন্ত উন্নতমানের হওয়ায় বিশ্বে দেশের পাটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এসব রপ্তানি সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাটচাষিকে বাঁচাতে সরকার বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন, পণ্য ও কাঁচা পাট রপ্তানির সব বাধা দূর করার উদ্যোগ নেবে।

‘বিজেএমসি অনেক পাট ব্যবসায়ীর সঠিক সময়ে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। যার কারণে অনেকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকেও মিল মালিক বা রপ্তানিকারকরা যাতে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পায় সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।’

এন্টি ডাম্পিং বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত পাটপণ্য রপ্তানিতে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। এটা করা হয় দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর জন্য। তারা তাদের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সেটা করতে পারে। এরপরও বৈদেশিক বাণিজ্যিক যুক্তি থাকায় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আমরা ভারতের সঙ্গে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের নিয়ে আলোচনা করবো।

এর আগে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, তামাক বর্জন করে তুলার চাষ বাড়ানো হবে। যেখানে তামাক চাষ করা হয় সেখানে মানুষ যেন তুলা চাষ করে সেটার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর তামাকের চাহিদা মেটানোর জন্য আমদানি করা হবে বিদেশ থেকে। এতে দেশের ট্যারিফও বাড়বে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তুলা শিল্পকে বাঁচাতে সরকার কাজ করবে। কারণ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা ব্যবহার করা হয়। তুলা না থাকলে আমাদের শিল্পখাতে অনেক সমস্যা হবে। বৈদেশিক আয় কমে যাবে। সেজন্য আমরা তুলা চাষ বৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে বৈদেশিকভাবে কীভাবে আরও বেশি আয় করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত