খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার শুনানি আজ

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৮

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠন শুনানি হবে আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। এদিন কারাগারে থেকে খালেদা জিয়াকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হতে পারে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি চার্জ শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলার যাবতীয় সিডি ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কপি চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার নিজের পক্ষে শুনানি করেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।

এর আগে, চলতি বছরের ৩, ১৩ ও ২১ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

৩ জানুয়ারির শুনানিতে হাজির হয়ে আদালতে বসার জায়গা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। তবে এর পরের শুনানিগুলোতে উপস্থিত থাকলেও কিছু বলেননি তিনি।

নাইকো দুর্নীতি মামলার আসামিরা হলেন— বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলায় তিন জন আসামি পলাতক। তারা হলেন— সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

নাইকো দুর্নীতি মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়।