স্থবির ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:১০

সাহস ডেস্ক

প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ রয়েছে ঢাকার সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ক্লাস।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি কলেজটির সহকারী অধ্যাপক ডা. আ.জ.ম দৌলত আল মামুনের ওপর হামলার পর থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো ক্লাস হয়নি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ক্যাম্পাসের সামনে কলেজের শিক্ষক দৌলত আল মামুনকে মারধর করে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী কিছু শিক্ষার্থী। এরপর সে রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন মামুন।

মামলার আসামিরা হলেন- কলেজেটির ইন্টার্ন চিকিৎসক দুলালুর রহমান (ইউনানি) ও মাকসুদুর রহমান অ্যাপোলো (আয়ুবের্দিক), ২৫তম ব্যাচের (ইউনানি) শিক্ষার্থী শামীম হোসেন এবং মেডিকেল অফিসার (ইউনানি) ডা. আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন।

এ বিষয়ে আ.জ.ম. দৌলত আল মামুন ও একজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের এখন কোনো কমিটি নেই কলেজে। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের ছাত্রলীগের লোক বলে পরিচয় দিয়ে আসছে। তারা নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে প্রায়ই শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। তারা শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও আক্রমণ করে আসছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কলেজের শিক্ষক ডা. মহিবুল্লার মেয়েকে উত্যক্ত করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক দুলালুর রহমান। এর প্রতিবাদ করায় সেদিন রাতেই ডা. মহিবুল্লার বাসায় গিয়ে স্ত্রী-কন্যার সামনে তাকে লাঞ্ছিত করেন দুলালুর রহমান ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি জরুরি বৈঠক ডাকা হলে সেখানেও গালাগাল, হুমকি ও দরজায় লাথি দেন ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করায় সেখানেই হামলার শিকার হন মামুন।

কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, মামলার বাদী এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করেননি। একবারও ফোনও দেননি। আসামিদের ধরতে আমাদের কোনো সহযোগিতাও করেননি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত