ধর্ষণের পর অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে মামলা

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:৩৯

সাহস ডেস্ক

একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় বাদির কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফয়সাল। বাদির কন্যা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ফয়সাল বিয়ে না করায় তার নামে ধর্ষণের মামলা করেন ধষর্ণের শিকার ওই নারী। এই মামলা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে অপহরণ করে হত্যা করে ধর্ষক। অপহরণ করার পর হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

১১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নির্যাতিত ওই নারীর বাবা মেহেন্দিগঞ্জ চরপশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক গাজি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। 

আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন- চরপশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল আকন, মকবুল ব্যাপারি, হেলার গাজি, সোহরাব হাওলাদার, বাহাদুর হাওলাদার, একই উপজেলার লেঙ্গুটিয়া গ্রামের মাইন উদ্দিন মাঝি, কালাম মাঝি, মিজান মাঝি, ফয়সাল হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার, ইব্রাহিম মাঝি, রিয়াদ, রফিক, রাসেদ ও হাসিফ মাঝিসহ অজ্ঞাত ১৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় বাদির কন্যাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফয়সাল। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে করতে বলায় ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর বরিশালে এনে গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় গত বছরে ওই নারী ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় ওই নারীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় বিবাদীরা। 

এতে ওই নারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে অভিযুক্তরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই নারী রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে অভিযুক্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে জাঙ্গালিয়া সুপারি বাগানে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মামলা করলে বিচারক ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত