সংরক্ষিত নারী আসন

‘ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে’

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩০

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কয়েকজনের নাম তিনি আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট, পোলাইট, কমিটেড এবং ডেডিকেটেড।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দলের প্রতি কমিটেড, দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তারা কমিটেড, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা-সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের নেত্রীর সক্রিয় মতামতের ভিত্তিতে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধের পরিবার, এছাড়া সব অঙ্গনের প্রতিনিধি এখানে আছে। কালচারাল থেকে শুরু করে সকল পর্যায় থেকে নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। বিরূপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও দেখা গেছে ফলাফল হবে, গণনা চলছে, তখনও তারা জালিয়াতির কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির এটা পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এ নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

এক তরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে -বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উনি কি নির্বাচনের নিয়ম কানুন, আইন, আচরণ বিধি, সংবিধান- এসব মানতে চান না? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো পাঁচ বছর পরেই হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে বিএনপির মেজরিটি পার্সেন্ট এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরও শোচনীয় অবস্থা হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন মনে করে কোনো নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা এই ধরনের অভিযোগ করে। রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তারা অভিযোগ করবে।