মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে বেঁধে লাঠিপেটা

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৭

সাহস ডেস্ক

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া বাজারে মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে দুই শিশুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার দুই শিশু হচ্ছে নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে বিজয় মোল্লা (১১)। সে ওই গ্রামের আবুল কাসেম মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। অপর শিশু হলো একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আসিক (৭)। সে মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিজয় মোল্লার বাবা ফরিদ মোল্লা গেল শনিবার সকালে একটি মামলা করেন। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী জুলফিকার শেখ ও তার ছেলে সাগর শেখকে ওইদিন রাতেই তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মারধরের শিকার বিজয় মোল্লা বলেন, নারুয়া বাজারে জুলফিকার শেখের ছেলে সাগর শেখের একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান রয়েছে। সেই দোকানে একটি ফোন মেরামত করার জন্য দিয়েছিলাম। গেল শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনটি আনতে গেলে দোকান বন্ধ পাই। পরে তার বাড়িতে গেলে সাগরের বাবা লফিকার আমাদের বিকেলে দোকানে আসতে বলেন। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় একটি মোবাইল ফোন পাই এবং বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানাই। বিকেলে সাগরের দোকান থেকে মোবাইল ফোনটি আনতে গেলে তার বাবা আমাকে ও আসিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট শুরু করেন। সেইসঙ্গে জোর করে তারা আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরির স্বীকারোক্তি নেন।

বিজয়ের বাবা ফরিদ মোল্লা জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে ছেলে দুটিকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুদের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তিনি এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী জুলফিকার শেখ জানান, মোবাইল চোর সন্দেহে তাদেরকে আটক করি। তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য রশি দিয়ে বেঁধে রাখি। ফোন চুরির কথা প্রথমে স্বীকার না করায় লাঠি দিয়ে দুই একটি আঘাত করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হোসেন জানান, মোবাইল ফোন যদি শিশুরা চুরি করেও থাকে তাদের মারধর করার অধিকার কারো নেই। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত আছেন তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত