আমরা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উন্নয়ন গড়তে চাই: পলক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪০

সাহস ডেস্ক

‘শিক্ষার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রযুক্তি নির্ভর মেধাভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই’- বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিকেলে নাটোরের সিংড়া কোর্ট মাঠে ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটিয়ে এ লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার বছরের প্রথম দিন সারাদেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয়।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তির পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি সারাদেশে শেখ কামাল আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং আইটি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে।’

আগামী ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সরকার উন্নত দেশের সব সুবিধা ও বিনিয়োগ তথ্য প্রযুক্তি খাতে করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের সব ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯০ লাখ টাকা খরচ করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবলে সংযুক্ত করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে অনলাইন সেবা চালু করায় জনদুর্ভোগ কমেছে। এসব কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে দুই হাজার ৯০০টি সেবা দেওয়া হবে। শহরের সঙ্গে গ্রামের ব্যবধান কমিয়ে এনে সব গ্রামকে আমরা শহরের সুবিধা দিতে চাই। এজন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার পাশাপাশি সব গ্রামে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ প্রমুখ।

সিংড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ উৎসবে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রত্নগর্ভা মা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নয়টি ক্যাটাগরিতে ৮১০ জনকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত