পুরুষ নির্যাতন আইনের দাবিতে প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

নারী নির্যাতিন আইনের মতো পুরুষ নির্যাতন আইন প্রণয়নের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ম্যানস রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ)। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় অয়োজই এই মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'নির্যাতন ও যৌতুকের মামলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ঘরে ও বাইরে পুরুষদের নির্যাতন করা হচ্ছে'।

মানববন্ধনে সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুর আলম বলেন, ‘২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রথম পুরুষ নির্যাতনের প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও একই প্রতিবাদে যখন দাঁড়িয়েছি ততদিনে পুরুষ নির্যাতন অনেক বেড়ে গেছে। পুরুষরা ঘরে ও বাইরে নির্যাতনের শিকার হলেও আত্মসম্মানের ভয়ে কিছু প্রকাশ করতে পারেন না’।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা পুরুষ নির্যাতনের দাবি তুলছি, এর মানে এই নয় যে, আমরা নারী নির্যাতনকে সমর্থন করি। তবে পরকীয়াজনিত কারণ ও অবাধ্য স্ত্রীকে শাসন করতে গেলেই স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব স্ত্রীরা মিথ্যা নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরকীয়া বন্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারারও সংশোধন করতে হবে'।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরুপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে, যার শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড। কিন্তু এক্ষেত্রে একইভাবে স্ত্রীলোকটিকে দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উপযুক্ত বলে গণ্য করা হয়নি। শাস্তি না থাকার কারণে তারা পরকীয়ায় উৎসাহিত হচ্ছে'।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে পুরুষ নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান রাশেদুজ্জামান। এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা ৩ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা এবং চট্টগ্রামে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ডিভোর্সের পর কেন যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান তারা।