'নদী দখলের অভিযোগ থাকলে নির্বাচনে অযোগ্য'

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৫

সাহস ডেস্ক

কারও বিরুদ্ধে যদি নদী দখল, ভরাট করার অভিযোগ ওঠে তাহলে তিনি দেশের কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়া তারা কোনো ব্যাংক থেকে ঋণও গ্রহণ করতে পারবেন না বলে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এই অভিযোগটি নদী রক্ষা কমশন তদারকি করবেন বলে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালত বলেন, কারও বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে দেশের সকল নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কোনো নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

এর আগে ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দখলকৃত তুরাগ উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। পরে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ তুরাগ উদ্ধারের পদক্ষেপ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। এদিন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর আদালতে জরিপ প্রতিবেদন দাখিল করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর জরিপ অনুসারে তুরাগ নদীর জায়গা উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। নদীর দখলকৃত ভূমি উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে কয়েক আপিল দায়ের করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে রুল শুনানির আদেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত