ধর্ষকের লাশ উদ্ধার, গলায় চিরকুট ‘ধর্ষণের এই পরিণতি’

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘ধর্ষণের কারণে আমার এই পরিণতি।’ নিহত সজল জোমাদ্দার (২৮) পাশের জেলা পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে।

কাঁঠালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক জানান, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে বলতলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

পরির্শক এনামুল হক বলেন, “মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় সুতা দিয়ে ঝুলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল: ‘আমার নাম সজল…মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি’।”

ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই তারিকুল জানান, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে পানের বরজে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সজলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ভাণ্ডারিয়া থানায় সজলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পালাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার আশুলিয়ায় দল বেঁধে ধর্ষণের পর পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রধান আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় ঝোলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’। 

তবে কে বা কারা নিপনকে গুলি করে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি এই পুলিশ।