সৈয়দ আশরাফের জন্য কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৮

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ আমাদের মাঝে নেই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই আমি চিনি, কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সে ছাত্রলীগ করতো। আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্কের মতোই ছিল।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক ছিল। এই বৈঠকের প্রথম এজেন্ডা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বেদনায় আপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, আওয়ামী লীগ তো একটা পরিবারের মতো। সকলের সঙ্গেই আশরাফের আলাদা একটা যোগাযোগ ছিল। ৭৫’র পর ১৯৮০ সালে যখন আমি লন্ডনে যাই, তখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ সংগঠন করার সুযোগ হয়েছিল। তারপরে সে সেখানেই ছিল। রেহানাও ছিল। রেহানার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখেই সে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কাজ করতো।

‘এরপর তাকে আমি বাংলাদেশে নিয়ে আসি। বার বার সে নির্বাচনে জয়লাভ করে। এবারও সে অসুস্থ অবস্থায় তার অবর্তমানে কিশোরগঞ্জবাসী তাকে বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, যেদিন আমরা শপথ নিলাম, সেদিন সে মৃত্যুবরণ করে। সে শপথ নিতে পারেনি। কিন্তু গ্যাজেটে তার নাম আসে।’

বৈঠকে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্য শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরপর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন হয়। এছাড়াও আরও সাতটি আলোচ্যসূচি ছিল।

গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।

গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংকক সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। 

জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও মুক্তযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হয়ে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

টানা দুইবার মুক্তযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পাঁচবারের এই সংসদ সদস্য।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত