৩ বছরে ১০ লাখ শ্রমিক নেবে কানাডা

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৪

সাহস ডেস্ক

২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ১০ লাখ দক্ষ শ্রমিক নেবে দেশটি। এতে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ করার অনুমতি ও নাগরিকত্ব পাবেন তারা।

সম্প্রতি কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে অর্থাৎ তিন বছরে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি পেশাজীবী বিভিন্ন খাতে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেশটির সরকার। ২০১৭ সালে ২ লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে তারা।

হাই স্কিল্ড, ফ্যামিলি মাইগ্রেশন, ট্রেড স্কিল্ডসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৬০ ধরণের প্রোগ্রামের আওতায় এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সিআরএস (Comprehensive Ranking System) পয়েন্টের নিম্নমুখী স্কোরের প্রবণতা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর সবচেয়ে কম পয়েন্ট দিয়েও কানাডায় আবেদনের সুযোগ পাওয়া যাবে।

এজন্য পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরাও ১০ পদের যেকোনও এক পদে আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি এই দুই ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বেশি আবেদন করা হয়।

যে ১০ পদে আবেদনের মাধ্যমে দ্রুত যাওয়া যাবে সেগুলো হলো- সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজার, বিজনেস এনালিস্ট, কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ, আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে দক্ষ। এছাড়া অন্যান্য দক্ষ পেশাজীবীরাও আবেদন করতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কানাডায় অভিবাসনের আবেদন করতে সাধারণত একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা, পরিবারের তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি পাস, আইইএলটিএস, ইসিএ সার্টিফিকেট, কমপক্ষে দুই বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি লাগে।

কানাডা সবসময়ই ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে অভিবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিল সি-৬ (Bill C-6) অনুযায়ী কানাডার সিটিজেনশিপের আবেদন করতে ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর বসবাস করতে হবে। এর আগে ছিল ৬ বছরের মধ্যে ৪ বছর। এছাড়া কানাডায় যারা অস্থায়ী মর্যাদায় তথা ওয়ার্ক অথবা স্টাডি পারমিটে ছিলেন, তারাও তাদের কানাডায় বসবাসের সময়টুকু ৩ বছর মেয়াদের একটি অংশ হিসেবে গণনা করতে সক্ষম হবেন।

কানাডায় ইমিগ্রেশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সাথে।

সাহস২৪.কম/ইতু

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত