ফেনীতে চার তরুণীকে ছয় মাস আটকে ধর্ষণ-নির্যাতন, আটক ২

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৩

সাহস ডেস্ক

ফেনী শহরে চার তরুণীকে ছয় মাস ধরে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরমান (৩৩) ও মো. ওমায়ের (১৯) নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

৯ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে ধর্ষকদের আটক করা হয়।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, ‘বুধবার রাতে চার তরুণীকে উদ্ধারসহ তাদের আটক করা হয়।’

ধর্ষকদের বিরুদ্ধে এক তরুণী মামলা করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শাহজাহান বলেন, ‘কাওসার বিন কাসেম নামে এক ব্যক্তি তাদের প্রেমের প্রলোভন দিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর কাওসার নিজে ও তার সহযোগীরা শহরের রামপুর এলাকার একটি বাসায় ছয় মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।’

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তাদের সিগারেটের ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শক ও মারধর করে নির্যাতন চালানো হত বলে তিনি মামলার নথির বরাতে জানান।

গত ৭ জানুয়ারি (সোমবার) ওই বাসার ভেতরে তরুণীদের কান্না ও চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়।

এসআই শাহজাহান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিকসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে গেছে। বাসার বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৫৩টি ইয়াবাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নির্যাতনের আলামত জব্দ করেছে পুলিশ।’

ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবু তাহের ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তরুণীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলমত পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার চার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে উপস্থিত করলে বুধবার তারা ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর ধর্ষণ মামলা ছাড়াও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।’

মামলার প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত