পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী, আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৭

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গৃহবধূ নিলুফা হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী (২৭)।

শুক্রবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেয় মেহেদী।

এসময় তিনি আদালতকে জানান, জনৈক ফারুকের সাথে তার স্ত্রী নিলুফা আক্তারের পরকীয়া প্রেম ছিল। এজন্য তিনি নিলুফাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঘরে রেখে পালিয়ে যান।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সখীপুর উপজেলার হামিদপুর বাজার থেকে জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী (২৭) বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানা সদরের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী নিলুফাকে নিয়ে
বাসা ভাড়া করে থাকতেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর সখীপুর উপজেলা সদরের ৮নং ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় সংলগ্ন জনৈক আব্দুল হামিদের ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে গৃহবধূ নিলুফা আক্তারের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিলুফা আক্তারের বাবা সরুজ আলী বাদি হয়ে জামাতা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর নাম উল্লেখ করে
সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত