ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাক

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২৯

সাহস ডেস্ক

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ডক্টর মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছেন, ২০১২-তে আমি একবার আদালতে রিট করে আদেশ নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়েছিলাম৷ এবার আর তা করবো না। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বেইলি রোডের ক্যাম্পাসের সামনে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে চৈতি নামে একটি মেয়ের ইচ্ছায় তাকে সায়েন্স নিতে দেওয়া হয়নি। মেয়েটি এক বছর নষ্ট করে পুনরায় পরীক্ষা দিলেও তাকে সায়েন্স দেওয়া হয়নি। পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। যদি চৈতির আত্মহত্যার বিচার হতো তাহলে অরিত্রী অধিকারীকে মরতে হতো না।

‘আমি মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) গভর্নিং বডিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বরখাস্ত করতে, তবে তারা তা করেনি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার এখন পুলিশ কাস্টডিতে অথবা সাসপেন্ডেড অথবা জামিনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ হিসেবে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রির বাবা। মামলার আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা।

এ ছাড়া ওই ঘটনায় ভিকারুননিসার শিক্ষক আতাউর রহমান, খুরশিদ জাহান এবং গভর্নিং বডির সদস্য ফেরদৌসী বেগমকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর) ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইউসুফকে প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উভয় কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত