ভিকারুননিসা প্রভাতী শাখার প্রধান বরখাস্ত

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৪১

সাহস ডেস্ক

স্কুলছাত্রী অরিত্রী আত্মহননের ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, গতকাল রাতে জিনাত আরাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদাউস বলেন, ‘যেহেতু তার (জিন্নাত আরা) বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইউসুফ জানান, ‘ঘটনা একসঙ্গে ঘটেনি। এর শুরু থেকে তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

তিনি আরো বলেন, আমরা ঘটনার শুরু থেকে তদন্ত করবো। এর সঙ্গে জড়িত, পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যে পরিবারে হয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। কোনো ঘটনা একসঙ্গে হয় না। আমরা পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় আনার চেষ্টা করবো। মন্ত্রণালয় ও স্কুল থেকে গঠিত কমিটির তদন্ত একসঙ্গে দেওয়া হবে। সেটি দেখে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার বেনজির আহমেদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাখায়েত হোসেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রির বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রির বাবাকে জানানো হয় তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রির সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে। পরে সোমবার সন্ধ্যায় প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদাউস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অরিত্রির পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে যান। এ সময় অরিত্রির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে তার ওপর চড়াও হন। এ সময় তিনি টিসি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত