আ.লীগ ও বিএনপির যেসব আসনে প্রার্থী নেই (তালিকাসহ)

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৪

সাহস ডেস্ক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কোনও দলই ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ৩৬টি আসনে, বিএনপি ৫টি আসনে এবং জাতীয় পার্টি ৯০টি আসনে কাউকে মনোনয়নই দেয়নি।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সব আসনে প্রার্থী না দিলেও অনেক আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপি ২৯৫ আসনে ৬৯৬ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ২৬৪টি আসনে ২৮১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এলডিপি (ছাতা) ১৫ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ১৭ জন, সাম্যবাদী দল (চাকা) ৩ জন, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৭ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি (কাস্তে) ৭৭ জন, আওয়ামী লীগ (নৌকা) ২৮১ জন, বিএনপি (ধানের শীষ) ৬৯৬ জন, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ৮ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (কুঁড়ে ঘর) ১৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩ জন, বিকল্প ধারা (কুলা অথবা নৌকা) ৩৭ জন, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ২৩৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (মশাল) ৫৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি (তারা) ৫১ জন, জাকের পার্টি (গোলাপফুল) ১০৮ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মই) ৪৯ জন, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ী) ১১ জন, তরীকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) ২০ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বট গাছ) ২৬ জন, মুসলিম লীগ (হারিকেন) ৪৯ জন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (আম) ৯০ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ) ১৫ জন, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৬১ জন, গণফ্রন্ট (মাছ) ১৬ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (বাঘ) ১৬ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (গাভী) ৪ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ২৮ জন, কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ৫ জন, ইসলামিক ঐক্যজোট (মিনার) ৩২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ (রিকশা) ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) ২৯৯ জন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ২১ জন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (হুক্কা) ৬ জন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) ৩০ জন, খেলাফত মজলিশ (দেয়ালঘড়ি) ১২ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হাতপাঞ্জা) ১৭ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট একজন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন) দিয়েছে ৭১ জন।

আওয়ামী লীগের পক্ষে যে ৩৬ টি আসনে কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি সেগুলো হলো- ঠাকুরগাওঁ-৩; নীলফামারী-৩ ও ৪; লালমনিরহাট-৩; রংপুর-১ ও ৩; কুড়িগ্রাম-২; গাইবান্ধা-১; বগুড়া-২, ৩, ৪, ৬ ও ৭; রাজশাহী-২; কুষ্টিয়া-২; বরিশাল-৩ ও ৬; পিরোজপুর-২ ও ৩; ময়মনসিংহ-৪ ও ৮; কিশোরগঞ্জ-৩; মুন্সিগঞ্জ-১; ঢাকা-৪, ৬ ও ৮; নারায়ণগঞ্জ-৫; সুনামগঞ্জ-৪; সিলেট-২; মৌলভীবাজার-২; বাহ্মবাড়িয়া-২; ফেণী-১ ও ৩; লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-২ ও ৫।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শরিক মহাজোটের দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ৩৬টি আসনে কোনও প্রার্থী দেয়নি।

বিএনপির প্রার্থীরা ২৯৫টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তারা যে ৫টি আসনে কোনও প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি সেগুলো হলো- টাঙ্গাইল-৮, মৌলভীবাজার-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষ্মীপুর-৪ ও চট্টগ্রাম-১৪। আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিরও বেশ কিছু আসন শরিকদের ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সমাঝোতা হলে ওইসব আসন থেকে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবে।

বিএনপি যে আসনগুলোতে একক প্রার্থী দিয়েছে সেগুলো হলো, ঠাকুরগাঁও-১ ও ৩, লালমনিরহাট-৩, গাইবান্ধা-১, বগুড়া-২, চাপাইনবাবগঞ্জ-২, পাবনা-১, কুষ্টিয়া-১, চুয়াডাঙ্গা-২, মাগুরা-১, খুলনা-১ ও ২, জামালপুর-৪, ময়মনসিংহ-৫, কিশোরগঞ্জ-৬, ঢাকা-৩, মুন্সীগঞ্জ-৩, গাজীপুর-৩, ৪ ও ৫, নরসিংদী-১ ও ২, নারায়ণগঞ্জ-৩, মাদারীপুর-৩, শরীয়তপুর-১, ২, ও ৩, হবিগঞ্জ-১ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, নোয়াখালী-৬, লক্ষ্মীপুর-১, চট্টগ্রাম-১১, ১৫ ও ১৬ এবং কক্সবাজার-১, ২ ও ৩।

জাতীয় পার্টি যে আসনগুলোতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-১ ও ২; দিনাজপুর-৩; নীলফামারী-২; লালমনিরহাট-২; রংপুর-৬; গাইবান্ধা-২; চাপাইনবাবগঞ্জ-১, ২ ও ৩; নঁওগা-৬; রাজশাহী-১ ও ৪; সিরাজগঞ্জ- ১, ২, ৫ ও ৬; পাবনা-২, ৩ ও ৪; কুষ্টিয়া-২ ও ৩; চুয়াডাঙ্গা-২; ঝিনাইদাহ-১, ২ ও ৪, যশোহর-১; মাগুরা-২; খুলনা-৩; সাতক্ষীরা-৩; বরগুনা-১; পটুয়াখালী-২; ভোলা-২; বরিশাল-১ ও ৪, পিরোজপুর-২; টাঙ্গাইল-১, ২, ৩ ও ৬; শেরপুর-২, ময়মনসিংহ ১, ৩ ও ১১; নেত্রকোনা-১, ৪ ও ৫; কিশোরগঞ্জ-৪ ও ৫; মানিকগঞ্জ-১; ঢাকা-১, ২, ৯ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-২; ফরিদপুর-২, ৩ ও ৪; গোপালগঞ্জ-১; মাদারীপুর ২ ও ৩; শরিয়তপুর-১ ও ২; সুনামগঞ্জ-১ ও ৩; মৌলভীবাজার ১, ৩ ও ৪; হবিগঞ্জ-৪; বাহ্মণবাড়িয়া-১; কুমিল্লা-৬, ৯ ও ১০; চাঁদপুর-৩; ফেনি-১ ও ২; নোয়াখালী-৩; লক্ষ্মীপুর-৩ ও ৪; চট্টগ্রাম-১, ৩, ৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫ ও পার্বত্য বান্দরবান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত