অধিকতর যাচাইয়ের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৫০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অধিকতর যাচাইয়ের পরই আওয়ামী লীগ ও জোটের শরিকদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এর আগে কারও শোনা কথায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না করলে ভালো হয়।’

সোমবার (২৬ নভেম্বর) ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় দলের ও শরিকদের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের আগেই গণমাধ্যমের স্ক্রলে তাদের নাম চলে এসেছে। হয়তো এদের কেউ আসলে মনোনয়নই পাননি। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশের কারণে লজ্জাষ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।’

আওয়ামী লীগ 'কৌশলগত কারণে' আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কৌশলে মার খেতে চাই না, কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে। এতে আমরা কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে চাই না।

তিনি বলেন, আমরা জোটের তালিকা প্রকাশ করব। দলীয়ভাবে যেটা করেছি তা কিন্তু গণমাধ্যমে দিইনি। এমন অনেক প্রার্থীর নাম গণমাধ্যমে এসেছে যাদের আমরা চিঠি দিইনি। এটা বিভ্রান্তিকর। অফিশিয়ালি তালিকা প্রকাশের আগে লোকের মুখে শুনে বা শোনা কথা প্রচার করলে তা বিব্রতকর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটের অন্যান্য শরিকেরাও একইভাবে চিঠি দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে। জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট, ১৪ দল চিঠি দিচ্ছে। সকলের তালিকার পর যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব। এখানে কৌশলগত, টেকনিক্যাল ও টেকটিকেল বিষয়গুলো বিবেচনার আছে। কয়েকটি জায়গায় আমরা ডাবলও মনোনয়ন দিয়েছি। পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে সার্ভে করে চূড়ান্ত করা হবে।

শরিকদের ৬৫-৭০ আসন ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মনোনয়নের নামে বানরের পিঠা ভাগ করতে চাই না। জাতীয় পার্টি, ১৪ দল, যুক্তফ্রন্ট সব মিলিয়ে ইলেকটেবল-ইলিজিবল প্রার্থী দেওয়া হবে। তিনি বলেন, উইনেবল যারা প্রার্থিতার জন্য আবেদন করেছেন, তারাই মনোনয়ন পাবেন। আমরা জেতার জন্য নির্বাচন করছি। গণতন্ত্র নম্বরের লড়াই। কে কত সিট পাবে.. সরকার গঠন করতে হলে গণতন্ত্রে মেজরিটি পেতে হবে। কাজেই সিট কমিয়ে কি টার্গেট নম্বর অর্জন করতে পারব? আমার দলের লোক হোক, শরিক দলের হোক, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় যারা জয়লাভ করবে তাদের বিবেচনায় নিচ্ছি।