নির্বাচন চাই, প্রাণহানি নয়: সিইসি

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:২৬

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, যারা দেশের শাসনভার গ্রহণ করবেন, যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, যারা মন্ত্রী, স্পিকার, দেশ পরিচালনা করবেন। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা প্রত্যেকে সম্মানীয় ব্যক্তি। আমি জানি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদের কখনও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবেন না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন ও তাদের কথা শুনতে হবে।’

সোমবার (২৬ নভেম্বর)নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের শেষদিনের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন।

নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনো রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক।

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই। অবাধ মানে- ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে যাবে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে বসবাস করবেন। আর চারদিকের পরিবেশ নিরাপদ রাখার দায়িত্বে আপনারা থাকবেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আপনাদেরকে বিচলিত করে, অনেক সময় আপনাদেরকে নানা কারণে উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আপনাদেরকে মিসগাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দেয়। সেই অবস্থাগুলো আপনাদেরকে বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে বুঝতে হবে যে, আসলে অবস্থা কী? তারপরই ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভোটের দিনের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। যা আপনাদের বিচলিতও করে, অনেক সময় নানা কারণে উশকানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হতে পারে। মিসগাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। সেই সব অবস্থায় আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে তা বুঝতে হবে যে, আসলে অবস্থা কি? 

‘কোন ঘটনা সত্য বা মিথ্যা তা আপনাদের বুঝতে হবে।  আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিজাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণ বিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে যেনো এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট, সুতরাং সেই বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে কখনও নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি ব্যাহত হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত