ভোট দেওয়ার ‘ঝামেলা’ দূর করতেই ইভিএম: সিইসি

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৫

ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার ‘ঝামেলা’ দূর করতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

নূরুল হুদা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতো ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে দু’একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে। ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেওয়ার যে ঝামেলা সেটি দূর করতে হবে। ইভিএম সেটা করতে পারে। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইনগত বাধা নেই। সেটা আমরা ব্যবহার করবো।।

সিইসি বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করে, তারা এটি এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ দিন, যে দিনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইনবিধি জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কিভাবে পরিচালনা  করবেন, সেটা জানলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।

সিইসি আরও বলেন, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পারে, কিন্তু নেওয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে, সেটি তাদের বোঝাবেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা আছেন, তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আগে এটি ছিল না, এখন সেটা করতে হবে। তাদের প্রশ্ন শুনে ধৈর্য ধরে উত্তর দিতে হবে।’

বিএনপি নেতা আবু বকরের মরদেহ ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। যেন দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।