ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের শাস্তি চেয়ে বিএনপির চিঠি

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১৬

বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে এই বিচার চাওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়। চিঠিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দেয় প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে দলটি। শুধু সচিব নয়; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনার আরও সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবেরও শাস্তি চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি, পিকপাকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করে। এছাড়া নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তৎপরতা না নিয়ে বিএনপি মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বতঃস্ফুর্ত জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়ে চড়ে বসে।’

চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব লিখেন, ‘কথিত আচরণ বিধির খড়গ নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি সচিব গণমাধ্যমে আচরণ বিধি প্রতিপালনের কঠোর হুমকি দিয়ে তা লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।’ 

চিঠিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনায় নেতা-কর্মী সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বক্তব্যে ঘটনা ঘটানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। 

‘এই সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করেছে। ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে; রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ৩৮ নেতাকর্মীকে। নির্বাচন কমিশনের চিঠির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির চরম বিঘ্ন সৃষ্টি, নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সরাসরি ইন্ধন যুগিয়েছে।’ 

এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-কমিশনার এবং উদ্দেশ্যমূলক জারি করা পত্রের স্বাক্ষরকারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনের আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হবো।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত