ফৌজদারি অপরাধ না করলে কারো বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নয়: মনিরুল ইসলাম

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:০৯

অনলাইন ডেস্ক

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত না হলে কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হবেনা।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের নানাবিধ প্রস্তুতি রয়েছে। এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এর ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অপারেশনাল ক্যাপাসিটি কমে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সহিংসতার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মিছিল-সমাবেশ করে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বা জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। যেকোনো  ‘অবৈধ জনতা’ ছত্রভঙ্গ করার সক্ষমতা ডিএমপির ছিলো। বড়সড় সমাবেশ ডিসপাচ করার আমাদের যে সক্ষমতা, তার বিশ্বজুড়ে সুনাম রয়েছে।

‘সেদিন আমরা শক্তি প্রয়োগ করতে চাইলে সেটা মেটার অব মিনিটের ব্যাপার ছিলো। আমরা তা না করে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হেলমেটসহ লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল। লাঠিগুলোতো আর মাটির নিচ থেকে আসেনি। পুলিশের দু’টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যে লাফালাফির দৃশ্য আপনারা দেখেছেন এটি কোনোভাবেই আইনি কর্মকাণ্ড নয়’।

তিনি বলেন, সেখানে অনেক মানুষ ছিল, কিন্তু যারা সুনির্দিষ্টভাবে হামলায় জড়িত ছিলো ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাদেরকে কেন্দ্র করেই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিনা কারণে কাউকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি। কথা দিচ্ছি, শুধুমাত্র ফোজদারি অপরাধ সংগঠিত হলেই আমরা আইন প্রয়োগে বাধ্য হবো।