৭ নভেম্বর পর আর আলোচনায় বসা যাবে না: কাদের

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৫ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১

‘আট তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, সাত তারিখে শেষ করব। সাত তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়, বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বর পর আর আলোচনায় বসা যাবে না বলে মনে করেন তিনি। 

আজ ৩ নভেম্বর (শনিবার) জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল ২ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণভবনে।

ইসির একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে সংলাপের আহ্বান সাড়া দিয়ে প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর আরও রাজনৈতিক দলকেও সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ‘৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।’

এ পর্যন্ত মোট ৮৫টি মতো দল সংলাপে বসার সুযোগ চেয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।’

সংলাপে বিএনপির অসন্তুষ্টির কথা জানানো হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল বিকল্পধারার ওনারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না, সেগুলো।’

‘বিকল্প ধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও বলেছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে।’

কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিৎ জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি। কারণ কারও মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য, ‘আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্ততিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি।’