‘কক্সবাজারে কোনো জলদস্যু-সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না’

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৩২

সাহস ডেস্ক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সন্ত্রাসীদের যদি কেউ সহযোগিতা করে তাদেরও মূলোৎপাটন করা হবে। বর্তমানে কক্সবাজারে উন্নয়নের মহাজোয়ার চলছে, তাই এখানে কোনো জলদস্যু-সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না।

আজ শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের ছয়টি জলদস্যু বাহিনীর শীর্ষ ১২ দস্যুসহ ৪৩ সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি জেনেছি এখানে বাহিনী-বাহিনী যুদ্ধ চলে। একটা বাহিনীকে ঘায়েল করতে আরেকটি বাহিনীর জন্ম দিচ্ছে। আমি কঠোরভাবে বলতে চাই, এখানে কোন বাহিনী থাকতে পারবে না।

মহেশখালী পৌরসভার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব- ৭) এ অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাত হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ৪৩ জন।

এদের মধ্যে আনজু বাহিনীর ১০ জন ২৪টি অস্ত্র জমা দিয়ে, রমিজ বাহিনীর দুই জন আটটি অস্ত্র জমা দিয়ে, নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা বাহিনীর ছয় জন ২৩টি অস্ত্র জমা দিয়ে, জালাল বাহিনীর ১৫ জন ২৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে, আইয়ুব বাহিনীর ৯ জন ৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে এবং আলাউদ্দিন বাহিনীর একজন একটি অস্ত্র দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

জমাকৃত অস্ত্রের মধ্যে, এসএমজি (বেলজিয়াম) একটি, রিভলবার একটি, দেশি পিস্তল দুইটি, দেশি-বিদেশি একনলা বন্দুক ৫২টি, দোনলা দুইটি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্টার গান ১৫টি এবং ২২ বোর রাইফেল রয়েছে দুইটি। এছাড়া জমা পড়েছে সাত হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাব-৭ এর প্রধান লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত