ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে ফের চাঁদাবাজি মামলা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৩৭

সাহস ডেস্ক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার বাসিন্দা হাসান ইমাম বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও আওলাদ হোসেনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ঘোড়াপীর মাজার এলাকায় হাসান ইমাম তিন বিঘা জমি কিনে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। গত বেশ কিছুদিন যাবৎ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লোকজন ওই জমি দখলের জন্য পাঁয়তারা করে আসছিলেন। এদিকে গত ১৩ অক্টোবর বিকালে হাসান ইমাম জমিতে গেলে জাফরুল্লাহর লোকজন তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এছাড়াও ওই সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজন তার জমির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তিনি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘এখানে কোনও চাপে নয়, স্বাভাবিকভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষেই মামলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, গত ৯ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। সেনা সদর দপ্তরের আইন বিষয়ক উইংয়ের মেজর এম রকিবুল আলম ওই জিডি করেন।

গত ১৪ অক্টোবর জিডিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত