‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলে জোটের রূপরেখা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত’

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৩

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জোটের রূপরেখা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে দলের সংখ্যা বাড়বে কিনা এ সিদ্ধান্ত আরও কিছুদিন পরে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে আমার সঙ্গে জাকের পার্টি দেখা করেছে। ৭ দলীয় একটা বাম জোট অফিসে এসে একটা আবেদন রেখে গেছে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চায়। বাহাদুর শাহের ইসলামী ফ্রন্টও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে সামিল হতে চান। প্রতিদিনই দুই একটা আবেদন কিংবা দেখা করে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করছেন। তবে আমরা এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলছি না, সবার কথা শুনছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাকে জোটে নেবো, কাকে নেবো না। বাস্তব পরিস্থিতির মেরুকরণের ওপর নির্ভর করবে আওয়ামী লীগ জোটের পরিধি বাড়াবে কি বাড়াবে না, জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে, কি করবে না।

ঐক্যফ্রন্টের কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে এলায়েন্সের কাফেলা এগিয়ে চলছে। জোট ভাঙছে, গড়ছে। শেষ পর্যন্ত মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের সমীকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি মনে করে তারা ২০০১ এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। আমাদের আত্মবিশ্বাসের উৎস জনগণ। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যারা মাঠে নেমেছে তাদের অধিকাংশ জনবিচ্ছিন্ন। জনবিচ্ছিন্নদের ঐক্যে এদেশের মানুষের কিছু আসে যায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের আজকে জন্মদিবস, মৃত্যূর বেদনা সেই জন্মদিবসকে ছাপিয়ে যায়। আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতিকে নির্মূল করা। হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ. শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আক্তারুজ্জামান, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর ১৫ আগস্ট রাতে শহীদ হওয়া সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত