২৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য প্রস্তুত ভাসান চর: ত্রাণমন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২০

সাহস ডেস্ক

পঁচিশ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের অস্থায়ী বসবাসের জন্য নোয়াখালীর ভাসান চরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, সেখানে ২৫ হাজার পরিবারকে নেয়ার জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুত আছি।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কার্যক্রম কবে উদ্বোধন কবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মায়া বলেন, সব রেডি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন বলবেন, সেদিনই। আমরা প্রস্তুত। আমি নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, অল্প সময়ে ওই জায়গাটা তারা তৈরি করেছে। না গেলে বুঝতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞের কারণে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মিয়ানমারের সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে এখন ১১ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে।

পরে সরকার নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিকভাবে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।

প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, চরের ভূমি উন্নয়ন ও তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ, থাকছে এক হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউস। আরও থাকবে ১২০টি শেল্টার স্টেশন, মসজিদ, দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসভবন। থাকছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় থাকবে নলকূপ ও পুকুর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত