মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানার উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার বাদিপক্ষের চতুর্থ ও পঞ্চম স্বাক্ষী গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে দুইজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত আগামী ১৮ অক্টোবর এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদা খানমের আদালতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আদালতে মামলার বাদিপক্ষের চতুর্থ স্বাক্ষী সরোয়ার হোসেন সরু ও পঞ্চম স্বাক্ষী স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল হক শামীমের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত আগামী ১৮ অক্টোবর এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার এমপি আমানুর রহমান খান রানার আইনজীবীরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এ মামলার প্রধান আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন। 

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত