ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হচ্ছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:০৩

সাহস ডেস্ক

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দ্বিতীয় দফায় ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হচ্ছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। আইন প্রয়োগে কঠোরতার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন ও সড়কে নিরাপদ থাকার বিষয়টি জানা না থাকলে সড়ক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবেই।

৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে মাসব্যাপী এই অভিযান চলবে। পুলিশের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্কাউটরাও কাজ করবেন এ অভিযানে। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার সময়ে গত ৫ আগস্ট পুলিশ সারাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ ট্রাফিক আইন মানেন না। যে কারনে সড়কে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে পুলিশকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তাই সবার মধ্যে আইন মানার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হয়েছে। সড়ক ব্যবহারে পথচারী, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকসহ সবপক্ষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করবে পুলিশ। এরইমধ্যে সারাদেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইজিপি।

পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সারাদিন রোদ-বৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেন। এ অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাজ করার পর অনেকেরই মানসিক অবস্থা খিটখিটে হয়ে যায়। অন্যদিকে, পথচারী, গাড়ি চালক ও যাত্রী কেউই ট্রাফিক আইন প্রয়োগে সহযোগিতা করতে চান না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন তারা। এছাড়া সবার সহযোগিতা ছাড়া এককভাবে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ কখনোই নিশ্চিত করতে পারবে না।

পুলিশ সদর দফতরের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এআইজি মোশাররফ হোসেন বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় পুলিশের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কাজও চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটছে বড় যানবাহনগুলোর সঙ্গে ছোট যানবাহনের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার ২৫ ভাগই হচ্ছে আইন না মানার কারণে। সে জন্য মহাসড়কে যেন ছোট যানবাহন চলতে না পারে, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

মোশাররফ হোসেন মিয়াজি আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি না চালানো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক নিয়োগ করা ছাড়াও দীর্ঘ পথে অতিরিক্ত চালক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভারী গাড়ি না চালানো ও নির্ধারিত যানবাহনের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভার নিয়োগ করার জন্য বলা হয়েছে। বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। হেলপার ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দিয়ে গাড়ি না চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত