ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৮, ১৩:১৮

সাহস ডেস্ক

ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এই ফিরতি যাত্রায় ট্রেন অনেকেই পছন্দের বাহন। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ে তা ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। আর ঈদ শেষে নির্বিঘ্নে যারা ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেছেন তাদেরও কমলাপুর রেলস্টেশনে বাড়ছে অপেক্ষার প্রহর।

স্টেশন সূত্রে জানা যায়, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় না পৌঁছায় ভোগান্তিতে পড়েন এর যাত্রীরা। এতে খুলনার উদ্দেশে ট্রেনটি ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায়। আবার কোনো কোনোটি নির্ধারিত সময়ের ৩/৫ ঘণ্টা পরে পৌঁছাবে বলে স্টেশনে স্থাপিত মনিটরে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে।

স্টেশনে স্থাপিত মনিটরে দেখা যায়, রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা ৫ মিনিট। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত না পৌঁছায় এর সম্ভাব্য পৌঁছানোর সময় জানানো হয়েছে দুপুর ১২টা। চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিলো সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করেনি।

এদিকে ঈদ স্পেশাল লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ছিলো সকাল সাড়ে ৭টা। কিন্তু ট্রেনটি দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ পৌঁছানোর পরিবর্তীত সময় দেখানো হচ্ছে। দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১০ মিনিটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা সাড়ে ১০টাও পৌঁছেনি।

শিডিউল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যাত্রী বেশি থাকার কারণেই ট্রেন বিলম্বে আসছে। উপচেপড়া ভিড় থাকলে ট্রেন নির্দিষ্ট গতিতে চালানো সম্ভব হয় না। যেসব স্টেশনে ২ মিনিট দাঁড়ানোর কথা সেখানে ১০/১৫ মিনিট লেগে যাচ্ছে। তবে বিলম্ব হলেও মানুষজন নিরাপদে আসতে পারছেন এটাই বড় কথা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত