১৫ আগস্ট যারা কেক কাটে, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫৮

সাহস ডেস্ক

১৫ আগস্ট যারা কেক কাটে, তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কেক কাটবেন, শিশুদের ঘাড়ে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করবেন, দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করবেন, আবার সংলাপ করবেন, সেটা তো হবে না।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা ষড়যন্ত্র করবেন, আর আমরা সংলাপ করতে চাইবো, এটা তো হতে পারে না। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, যারা বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করেছে, যারা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করেছে, যারা ১৫ আগস্ট কেক কাটে, তাদের সঙ্গে কোনও অবস্থাতেই সংলাপ হতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্য খালেদা জিয়া ভুল জন্ম তারিখে জন্মদিন পালন করেন অভিযোগ তুলে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি একজন রাজনীতিবিদ, যিনি জন্মের তারিখ পাল্টে দিতে পারেন। বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটা জন্মের তারিখ, তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার যে ক্রেডেনশিয়াল সেখানে একটি জন্ম তারিখ, তার মেট্রিকের সার্টিফিকেটে এক জন্ম তারিখ, স্কুলের সার্টিফিকেটে এক জন্ম তারিখ, আর হঠাৎ করে ৯২-৯৩ সালের দিক থেকে তিনি ১৫ আগস্ট কেক কাটা শুরু করলেন। অথচ ১৯৯৩ সালে তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেই ক্রেডেনশিয়ালে অন্য জন্ম তারিখ। আর দুই বছর পর উনার জন্ম তারিখ হঠাৎ করে বদলে গেলো।

তিনি বলেন, যিনি এরকম মানসিকতার অধিকারী, যদি ইউরোপের কোনও দেশে হতো, তাহলে রাজনীতিতে বহু আগে অযোগ্য হতেন। খালেদা জিয়ার ভাগ্য ভালো শুধু কয়েকটি মামলা হয়েছে, রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা হননি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য তারা আজকে জনবিচ্ছিন্ন। তারা দেশে বিভিন্ন সময় বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপর তারা অন্যদের ঘাড়ে চড়ে দেশে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। প্রথমে তেল-গ্যাস কমিটি,তারপর কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে ব্যর্থ হয়ে, এরপরে তাদের মানসিকতা এত নিচু যে, আমাদের শিশু-কিশোরদের ঘাড়ে চড়ে সরকার পতনের চেষ্টা করেছে। সবকিছু ব্যর্থ হয়ে এখন বলছেন, আমাদের একটু ডাকেন, আমরা কথা বলতে চাই। আমরা একটা সংলাপ করতে চাই।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত