এমটিসিএল পরিবহনের ৩৬টি গাড়ির মধ্যে চলছে মাত্র ৭টি

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০১৮, ১১:০৭

সাহস ডেস্ক

রাজধানীতে এমটিসিএল পরিবহনের ৩৬টি গাড়ি মধ্যে রাস্তায় চলছে মাত্র ৭টি। ৫২ সিটের এই গাড়িগুলো আরামবাগের নটরডেম কলেজের সামনে থেকে ছাড়ে মতিঝিল হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান, আসাদগেট ও মোহম্মদপুর টাউন হল পর্যন্ত যায়।

ছাত্র বিক্ষোভের পর ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। তাই রাস্তায় চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ও চালকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মালিকরা আপাতত গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছেন না।

প্রতিদিন এই রুটে ৩৬টি গাড়ি চলাচল করলেও সম্প্রতি ছাত্র বিক্ষোভের পর থেকে এখন মাত্র ৭টি গাড়ি এই রুটে চলাচল করছে। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এমটিসিএল গাড়ির একজন চালক জানান, রাজধানীতে এই গাড়ির সংখ্যা মোট ৩৬টি। কিন্তু বর্তমানে চলছে মাত্র ৭টি। কারণ এই গাড়ির ফিটনেস নাই। একই সঙ্গে  রাজধানীতে চলাচলের জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসেই রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সরকার রুট পারমিটের মেয়াদ আবারও বাড়াবে কিনা জানেন না মালিকরা। তাই নতুন করে কাগজপত্রও করতে পারছেন না তারা। এতদিন রুটে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে এমটিসিএল গাড়ি চলাচল করেছে। কিন্তু ছাত্র বিক্ষোভের মুখে ডিএমপির বিশেষ পুলিশ সপ্তাহ চলাকালে ট্রাফিক বিভাগ আগের তুলনায় কড়াকড়িভাবে কাগজপত্র চেক করার কারণে মালিকরা গাড়ি নামাতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই রাস্তায় গাড়ি কম।

তিনি আরও জানান, যে গাড়িটি আমি চালাচ্ছি, তারও কোনও কাগজপত্র নেই। তারপরও খামখেয়ালি করে চালাচ্ছি। কারণ মাসোহারা দেই তো। আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাকা। আমার কাগজে কোনও ত্রুটি নাই। এই রুটের গাড়ি আমরা যারা চালাই, তাদের প্রায় বেশিরভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ওকে।

এমটিসিএল’এর একটি গাড়ির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কম গাড়ি চলাচলের জন্য জনসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে জানি। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? কড়াকড়িভাবে ট্রাফিক সপ্তাহে কাগজ চেক হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি নামালেই টাকা দিতে হয়, তার পরেও কাগজ চায়। না পেলে মামলা দেয়। সেই মামলা মিটমাট করতে হয়। এতো ঝামেলা কে করে? তাই বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, তার পরে গাড়ি নামাবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত