‘দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে মৃত্যুদণ্ড’

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৫

সাহস ডেস্ক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর আইনের মামলা তদন্তে দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে ৩০২ ধারায় (মৃত্যুদণ্ড) বিচার হবে। এ আইনে ৮৪, ৯৭ ও ১০৩ ধারায় সংঘটিত অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য।

সোমবার (৬ আগস্ট) আইনমন্ত্রী তার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদন হয়।

এই আইনটি কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত হবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি পাসের মাধ্যমে তা কার্যকর করা হবে। আইনটি পূর্ণাঙ্গ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি কিছু বাকি থাকে তা বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি পূরণ হলো।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এই আইনে মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ নেই, গুরুত্বপূর্ণ হলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। এ মামলায় ৩০৪ ধারায় (সর্বোচ্চ সাজা পাঁচবছর কারাদণ্ড ও জরিমানা) বিচার হবে, তবে তদন্তে সড়ক দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে ৩০২ ধারায় (মৃত্যুদণ্ড) বিচার হবে।

এর আগে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

তিনি আরও জানান, এই আইন অনুযায়ী মোটরযান মালিককে ২০০৬-এর শ্রম আইন অনুসারে মোটরযান চালকের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র করতে হবে। লাইসেন্স ও চুক্তিপত্র ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। পেশাদার চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস ও ২১ বছর বয়সী হতে হবে। আর নিজের গাড়ি চালালে বয়স ১৮ বছর হতে হবে।

জানা যায়, এক বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রিপরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো ‘সড়ক পরিবহন আইন’। গত বছর আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেলেও শ্রমিক সংগঠনগুলোর আপত্তি ও কর্মসূচির হুমকির মুখে আর বেশিদূর এগোয়নি। কিন্তু গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনটি আবারও মন্ত্রিসভায় তোলা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত