জাবালে নূরের চালক, সহকারী রিমান্ডে

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৭

সাহস ডেস্ক

রাজধানীতে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালক ও তাঁদের সহকারীসহ (হেলপার) চারজনকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাস চালক সোহাগ আলী ও জুবায়ের এবং হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপন।

আজ সোমবার (৬ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল আলম এ আদেশ দেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামিদের কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে হাজির করা হয়। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে প্রত্যেক আসামির সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই চার আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে  ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু সে দিন বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। গত ৩০ জুলাই তাঁদের আটক করে পুলিশ।

এদিকে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাত হোসেন ও একই পরিবহনের ‘মূল হোতা’ চালক মাসুম বিল্লাহকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

এ ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে মিরপুর থেকে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে আসছিল। এ সময় ফ্লাইওভারের শেষ দিকে, রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীবের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন।

ওই ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। ২৯ জুলাই থেকে টানা বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকা প্রায় অচল হয়ে গেছে। এ ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৩৩।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত