বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২৪

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে গুলি করতে করতে আসবে, তাদের বলপ্রয়োগ না করে কি চুমু খাবে?

আজ রবিবার সকালে বনানীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র চলছেই। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া। আওয়ামী লীগ কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে—এই ইতিহাস নেই। এই আগষ্ট মাসেও ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অশুভ শক্তির আস্ফালনের গন্ধ, পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। আজকে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে অরাজনৈতিক আন্দোলন, সেই আন্দোলন কারা নোংরা রাজনীতির দিকে ‍নিয়ে যেতে চায়, সেটা গত তিন দিনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। গতকাল তো দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে।

বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ফোনালাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুমিল্লা থেকে ঢাকায় লোক পাঠানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন। ফোনালাপে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সে আহ্বান কি অশুভ শক্তির চক্রান্তের প্রমাণ করে না?

তিনি বলেন, বিএনপি এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিরা ছাত্রছাত্রীদের পোশাক পরে ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে ধোঁকাবাজির নোংরা রাজনীতি তারা করেছে। বিধ্বংসী রাজনীতির সূচনা করেছে বিএনপি।

বিএনপির বিষয়ে অভিযোগ করে মন্ত্রী কাদের আরও বলেন, একটি মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মুখ ঢাকা আহাজারি করছে। আমি আওয়ামী লীগ অফিসে ধর্ষিত হচ্ছি, আওয়ামী লীগ অফিসে আমাকে রেপ করা হচ্ছে, আমাকে বাঁচান। আমাকে রক্ষা করুন—এসব কথা বলেছে।

তিনি আরও বলেন, এই নোংরা রাজনীতিও বিএনপি করতে পারে। তাদের দোসররা করতে পারে। এটা কালকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

মুখ ঢাকা মেয়েটি আটক হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গভীর রাতে সেই মেয়েটি উত্তরায় ধরা পড়েছে। অনেক ঘটনাই ফাঁস হয়ে যাবে। সবার ছবি আছে। সবার কার্যক্রম আমরা নীরবে লক্ষ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো প্রকার বলপ্রয়োগে যায়নি এবং এই বলপ্রয়োগ আমরা করিনি।

নিজেদের ধৈর্যের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, এই অশান্তির রাজনৈতিক শক্তিকে যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে। সাত দিন ধরে ধৈর্য ধরেছি। আজকে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, এমপি-মন্ত্রী আমাদের নেতাদের হয়রানি, নাজেহাল করা হয়েছে। তারপরও আমরা হাসিমুখে সহনশীলতার সঙ্গে ধৈর্যের সঙ্গে মেনে নিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত