চালক বাবা শাস্তি চাইলেন মালিকদেরও

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৩

সাহস ডেস্ক

বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়ার চালকের বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মীমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকিরও পেশায় বাসচালক। তিনি মহাখালী থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের সড়কে একতা পরিবহন নামে একটি গাড়ি চালান।

তিন সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ত্রিশ বছর ধরে গাড়ি চালাই। কিন্তু কোনোদিন আমার গাড়ির নিচে কেউ চাপা পড়ে মারা যাননি। কেউ আহতও হননি। আর আমার মেয়েটাই আরেক চালকের দোষে মারা গেলো।

চালকদের সংগঠনের দুই বারের নির্বাচিত নেত জাহাঙ্গীর বলেন, এখন অনেকেই দক্ষ না হয়েই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছে। তারা নানাভাবে লাইসেন্স পাচ্ছেন। তাদের দক্ষতা নেই। তারা মাদকসেবন করে গাড়ি চালান। অনেকেই আছে রাস্তাতে গাড়ি চালাতে চালাতেই মাদক খান। গাঁজা খান। এসব চালকের যারা নিয়োগ দেন, গাড়ির মালিকদেরও তাই শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করে অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েকটি বাসে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ট্রাফিক ও ক্রাইম ডিভিশনের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত