মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১৪:১৮

সাহস ডেস্ক

উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখতেই হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দিতে হলে সরকারকে আগে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করে রায় পক্ষে পেতে হবে।

আজ বুধবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আপিল বিভাগের এক আদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে তা পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হলেও ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে। তাই এ আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপক্ষো করে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা করা হলে আদালত অবমাননার শামিল হবে বলে আমি মনে করি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকায় আদালতের আদেশে যতক্ষণ না পরিবর্তন আসছে, ততক্ষণ এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই। আদালতে ভ্যাকেট করাতে হবে। সরকার আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন করলে আদালত যদি রায় দেয় তবেই পারবে। এই আদেশ বহাল থাকা পর্যন্ত (মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তনের) কোনো সুযোগ নাই।

আদালতের রায়ের কপি বুধবার কোটা পর্যালোচনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, সরকারের ওই কমিটি ‘সচেতনতার সঙ্গে’ সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা আশা করছেন।

“মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, এ সরকার যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ‍মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের উগ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত