শম্ভুগঞ্জ সেতুর নির্মাণ ব্যায়ের দ্বিগুণ টাকা আয় হলেও বন্ধ হয়নি টোল

প্রকাশ | ০২ মে ২০১৮, ১৩:২০

অনলাইন ডেস্ক

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি যান চলাচল শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরের মাথায় এ সেতুর ইজারা বাবদ খরচের দ্বিগুণ টাকা আয় হলেও এখনও টোলের ভার বইতে হচ্ছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের। এমনকি বছর বছর যানবাহনভেদে বাড়ছে টোল।

স্থানীয় পরিবহন মালিক-চালক-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ সেতুর টোল মওকুফের দাবি জানালেও কর্ণপাত করছে না স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইজারা বাবদ আদায় হয়েছে কমপক্ষে ৯০ কোটি টাকা। এ সেতুতে প্রতিটি যান থেকে কমপক্ষে ১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা আদায় করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সেতুতে ট্রেইলারের টোল নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা। হেভি ট্রাক ১৩৫ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ১০০ টাকা, বড় বাস ৬৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৭৫ টাকা, পাওয়ার টিলার ৬০ টাকা, মিনিবাস ৩৫ টাকা, মাইক্রোবাস ও হায়েস ৪০ টাকা, প্রাইভেটকার ২০ টাকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ১৫ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রক্ষপুত্র নদের ওপর নির্মিত এ সেতু দিয়ে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, শেরপুর, মদন, তেলিগাতি, মোহনগঞ্জ, তাড়াইল, কেন্দুয়া, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বিরিশিরি, ময়মনসিংহের তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাকসহ প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার যানবাহন চলাচল করে। 

২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এ সেতুটি ইজারা দেয় মেসার্স মোস্তফা কামাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

স্থানীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, সেতু নির্মাণের খরচ উঠেছে সেই কবেই। অথচ এখনও প্রতি বছর কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই টোলের হার বাড়ছে। রাতে শম্ভুগঞ্জ সেতুটিতে কোনো সড়কবাতিই জ্বলে না। ওই সময় অনেকটা আতঙ্ক নিয়েই যানবাহন চালাতে হয়।