সোমবার সংশোধিত মুচলেকা দিতে হবে বিজিএমইএকে

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৪০

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে বারবার সময় না চাওয়ার শর্তে দেওয়া মুচলেকা পুনরায় সংশোধন করে আদালতে জমার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার (২ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে শেষবারের মতো এক বছরের সময় চেয়ে লিখিত মুচলেকা দেয় বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পরিষদ। লিখিত মুচলেকায় বলা হয়, এরপর আমরা আর সময় চাইব না।

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও  ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ সময় আদালতে আরো উপস্থিত ছিলেন এই মামলায় হাইকোর্টের অ্যামিকাস কিউরি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিজিএমইএর বোর্ড অব ডিরেক্টরদের পক্ষ থেকে একটি মুচলেকা দাখিল করা হয়। সেখানে বলা হয়, বোর্ড অব ডিরেক্টরস আর সময় চাইবে না। তারা যদি সময় চায়, তাহলে তারা দায়ী হবে।

তখন কোর্ট প্রশ্ন তোলেন যে, বিজিএমইএর বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ছয় মাস বা এক বছর পর নাও থাকতে পারে। সে বিষয়ের কোনো ব্যাখ্যা নেই।

পরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নতুন করে মুচলেকা দেওয়ার কথা বলেন তাদের আইনজীবী। সেই মুচলেকায় বলা থাকবে, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আর সময় চাওয়া হবে না। সময় শেষ হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিএমইএ নিজেরাই ভবন ভাঙবে। আদেশ না মানলে বিজিএমইএ দায়ী থাকবে।

এর আগে ২৫ মার্চ বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ’র ভবনটি ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

এরপরও বিজিএমইএ’র ফের আবেদন করায় পুনরায় ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে ভবন কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।