সিজারের সময় শিশুকে দুই ভাগ: ৭ জনকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৪

সাহস ডেস্ক

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) জুলেখা বেগম (৩০) নামের এক নারীকে সিজার করার সময় পেটের বাচ্চাকে কেটে দুই ভাগ করে ফেলার ঘটনায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন, মেডিকেলের পরিচালকসহ সাত  জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৪ এপ্রিল হাজির হয়ে তাদেরকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

এর আগে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তা আমলে নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আজ রবিবার এ আদেশ দেন। 

বাকি পাঁচজন হলেন- ডা. নসারিন আক্তার পপি, ডা. আয়েশা আফরোজ, ডা. জানিরুল হক, ডা. দিলরুমা শারমীন ও ডা. করুণা রানী কর্মকার।

ওই নারীর স্বামী সফিক কাজী জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে গত শনিবার (১৭ মার্চ) রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করেন তিনি। পরদিন রবিবার দুপুরের দিকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা.  করুনা রানী কর্মকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দল ওই সিজার করেন। প্রথম দিন প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও ডাক্তাররা আমার স্ত্রীকে সিজারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পরদিন দুপুরে জুলেখার সিজার করা হয়।  এ সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন এবং আমার স্ত্রীর জরায়ু কেটে ফেলা হয়।

এদিকে অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা জানান, প্রসূতির গর্ভের সন্তান মৃত ও অস্বাভাবিক পজিশনে ছিল। কিন্তু শিশুটির হাত-পা জরায়ু মুখ দিয়ে বের হয়ে চলে আসায় বাধ্য হয়ে অপারেশনের মাধ্যমে মৃত শিশুর দেহ ও  মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলাদাভাবে বের করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জরায়ু কেটে ফেলতে হয়। অপারেশনের আগে এসব বিষয়ে প্রসূতির স্বামীর অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এতে  ডাক্তারদের অবহেলা ছিল না বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত