কসবায় পুলিশের আত্মসাতের ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০১৮, ১১:৪৯

সাহস ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২শ' কেজির মধ্যে ১৬০ কেজি গাঁজা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) থানার একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে ওই গাঁজাগুলো জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন তিন দিন পর ৯ মার্চ (শুক্রবার) দুপুরে গাঁজা জব্দ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন- এ ঘটনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) ৪ সদস্যও জড়িত। তারা হচ্ছেন- কনস্টেবল মহিউদ্দিন, ইব্রাহিম, তাজুল ইসলাম ও আবদুল আজিজ। তাদেরকে ক্লোজ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরআরএফের পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জব্দকৃত গাঁজা আত্মসাৎ করার ঘটনায় গত ৭ মার্চ (বুধবার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মজুমদার, এসআই মো. মনির হোসেন-১, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সালাহ উদ্দিন, এএসআই মো. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহজাহান ও কনস্টেবল আবুল কাশেমকে। গাঁজা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তারা।

পুলিশ সূত্র জানায়- গত ৬ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেহাবাদ গ্রামের হাসান মিয়া (৩০) ও পটুয়াখালীর বাউফল থানার ইন্দ্রকোল গ্রামের আল-আমিন (৩৩) কসবা সীমান্ত থেকে দুটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দেয়। কসবা থানা পুলিশ গোপন খবর পেয়ে পৌর এলাকার টি আলী বাড়ি মোড়ে গাড়ি দুটি তল্লাশি করে। তারা বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ওই দুই মাদকব্যবসায়ীকে আটক করে। কিন্তু পরবর্তীতে এএসআই সালাউদ্দিন ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করেন। বিপুল পরিমাণ গাঁজা সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পেয়ে ওই রাতে কসবায় ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইনকে প্রধান করে জেলা পুলিশ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত