রুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, কমিটি স্থগিত

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১১:২৮

সাহস ডেস্ক

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটি স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। একইসঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর যথাযথ কারণ দর্শাতে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম রহমান নিবিড় ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রুয়েটের হামিদ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ছয় নেতা আহত হয়েছেন।

রুয়েট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রুয়েটের হামিদ হলে যান রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরাও অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেন। এর কিছুক্ষণ পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

প্রায় দেড় ঘণ্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের ছয় জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন রুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবিদ হাসান মিতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফি, প্রচার সম্পাদক মাহাথির, ক্রীড়া সম্পাদক রবিন এবং কর্মী ইমরান ও রাহাত। এর মধ্যে আহত রাহাত রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নিবিড়ের অনুসারী। বাকিরা সাধারণ সম্পাদক তপুর অনুসারী। আহতরা সবাই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ‘রাতে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এছাড়া, অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনও ধরনের ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও থানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনও পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত