ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩০

অনলাইন ডেস্ক

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামীকাল সকাল সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনসহ দলীয় সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামীকাল দুপুর দু’টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি-বিজড়িত ৭ মার্চ পালন করতে আওয়ামী লীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ যুগে যুগে বাঙালি জাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে। আমাদের মহান নেতার এই ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরন্তন ও সর্বজনীন হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি একটি ধ্রুপদি শিল্প হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাঙালি জাতির নিরন্তর লড়াই ও মুক্তির সংগ্রামে ৭ই মার্চের ভাষণ অবিনাশী চেতনা নিয়ে বারবার ফিরে আসে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ৭ মার্চের দিন দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলা, মহানগর ও জেলাসমূহের প্রতিটি পাড়া, মহল্লায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি যথাযথ গুরুত্বের সাথে সম্প্রচারের আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে) জাতির উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। কার্যত এটাই ছিল দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিল। 

গত বছরের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের এই ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত করে।