পাঁচ বছরেও দাখিল হয়নি ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১১:০৯

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার বিচার প্রায় শেষ হয়ে এলেও কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলা পাঁচ বছর চলে গেলেও এখনো অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। অথচ ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে সাত খুনের ঘটনার এক বছর আগে।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেছেন, সাত খুনের মতো জটিল মামলা প্রায় শেষের দিকে। অথচ ত্বকী হত্যার সব সত্য উদ্‌ঘাটিত হওয়ার পরও অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। 

২০১৩ সালের ৬ মার্চ শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে রফিউর রাব্বির ছেলে ত্বকী নিখোঁজ হয়। এর দুই দিন পর শহরের চারার গোপ এলাকায় কুমুদিনী খালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী নারায়ণগঞ্জ শহরের এবিসি স্কুলের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

রফিউর রাব্বি ওই সময় সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আইভীর পক্ষে কাজ করা, পবিরহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও বর্ধিত ভাড়া কমানোর দাবিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম গঠন করে আন্দোলনে নামার কারণে ক্ষুব্ধ একটি মহল তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

তিনি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন বলে নারায়ণগঞ্জের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান।

মামলাটি প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ তদন্ত করলেও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। বাদীর আবেদনে উচ্চ আদালত মামলাটি পরে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

২০১৪ সালের ৫ মার্চ র‌্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহা-পরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের বলেছিলেনন, ত্বকী হত্যাকাণ্ডে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তারপর চার বছর চলে গেলেও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি র‌্যাব।

মামলাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে র‌্যাব ১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, তদন্ত চলমান। গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত পারা যায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে। যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি মামলা, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত করছি।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো চাপ নেই। যেকোনো তদন্তের জন্য তদন্ত সংস্থার বড় কাজ হচ্ছে নির্ভুল তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া। এখানে সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইনগতভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা। এ বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। যত দ্রুততার সঙ্গে তদন্তকাজ শেষ করা যায় সে চেষ্টা চলছে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত