সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা পুনঃমূল্যায়নের রিট খারিজ

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৩:৪৯

সাহস ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা পুনঃমূল্যায়ন চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রিট আবেদনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনি, প্রতিবন্ধী, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটাসহ সব ধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিল চাওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করে ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন পুনর্মূল্যায়ন চাওয়া হয়েছিল।

আজ সোমবার (৫ মার্চ) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি  আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মীরসহ তিনজনের পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি এবং জাতীয়করণ প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ শতাংশসহ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করে আদেশ দেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই কোটা প্রথা সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানের কোটা প্রথা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি নাতনির জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ সবমিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৮ সালে পিএসসি’র উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। ওই সমীক্ষা অনুসারে কোটা প্রথা অসাংবিধানিক ও ন্যায়নীতির পরিপন্থী। কোনও কোটা চিরদিন থাকা ঠিক নয়। এই কোটা সংবিধানের ১৯, ২৮, ২৯ ও ২৯(৩) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত