সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৩

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার অশুভ ইঙ্গিত হিসেবে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছে। উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তার(ইকবাল) ওপর হামলা চালিয়েছে।’

এ হামলা মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে কাদের আরো বলেন, এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেপথ্য ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাফলতির কোন সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের আজ রবিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে আগামী ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার আগেও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তমনা লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা গতকালের হামলার মাধ্যমে তাদের অস্তিত্বের কথা জানান দিয়েছে।

তিনি বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী শক্তি দূর্বল হলেও নিস্ক্রিয় হয়নি। তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে সক্রিয় রয়েছে। মাঝে মাঝে তারা তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে।

কাদের আরো বলেন, এ হামলার মাধ্যমে জঙ্গীবাদী শক্তি জানিয়ে দিচ্ছে তারা গোপনে আরো বড় ধরনের ও ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষনিক বিষয়টি তদারকি করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে জাফর ইকবালকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল(সিএমএইচ) এ ভর্তি করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাটি একটি চক্রান্ত। তবে যারা জঙ্গীবাদী শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তারাই এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোন ষড়যন্ত্রের মধ্যে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। এ জন্য আওয়ামী লীগের এ জনসভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এ জনসভাকে সফল করতে প্রচারণায় রাজনৈতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য রাজধানীর ১৫ টি পয়েন্টে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপনী বিতান, পাড়া-মহল্লায় জনসভাকে সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী ৭ মার্চের জনসভাকে ঐতিহাসিক জনসভায় পরিণত করতে দলের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আগামী ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণের ওপর ভিত্তি করে একটি নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিনত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।

বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত করায় আগামী ৭মার্চের জনসভা এক অনন্য রূপ লাভ করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত